সিরাজগঞ্জ জেলা ও শাহজাদপুর উপজেলার সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীবৃন্দের সাথে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম এক মতবিনিময় করেন। গত (রবিবার) ১২ই ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় উপাচার্য মহোদয়ের সভাকক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় মাননীয় উপাচার্য বলেন, শাহজাদপুরে সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ধারা আছে। এখানে বাঙালি সংস্কৃতি রক্ষায় সংস্কৃতিকর্মীরা যেভাবে অবদান রেখেছেন, তা স্মরণীয়। তিনি আরও বলেন, শাহজাদপুরের এই সাংস্কৃতিক ধারাটি রক্ষা করার ক্ষেত্রে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত আন্তরিক। সংস্কৃতিকর্মীরা স্বৈরাচারবিরোধী সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা নির্মাণ এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার লড়াইকে এগিয়ে নিতে সংস্কৃতিকর্মীদের অগ্রগামী ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি এই নিঃস্বার্থ সংস্কৃতিচর্চা কমে যাচ্ছে। এই চর্চাটি বাড়ানো উচিত এবং এটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষণা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় তার জায়গা থেকে সেই পৃষ্ঠপোষণা দিতে কোনো কার্পণ্য করবে না।
উপাচার্য আরও বলেন, আমরা শাহজাদপুরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগুলো রক্ষায় কাজ করতে চাই। এখানকার তাঁত ও মৃত্তিকা শিল্প রক্ষায় আমরা সহযোগিতার হাত বাড়াতে চাই। তাঁতিদের জন্য ডিজিটাল নকশা তৈরির প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য মহোদয় উপস্থিত সকলকে সংস্কৃতির সেবায় এগিয়ে আসতে উদাত্ত আহ্বান জানান। সাংস্কৃতিক জোট ও সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপাচার্য মহোদয়ের আহ্বানে সম্মত হন এবং তারা আন্তরিকভাবে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে তারা নতুন প্রাণ খুঁজে পাচ্ছেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে নতুন স্বপ্ন দেখতে যাচ্ছেন।
মতবিনিময় সভায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মোঃ ফখরুল ইসলাম, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।